মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৫৯ পূর্বাহ্ন

দৈনিক প্রথম আলোয় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি’র বক্তব্য

দৈনিক প্রথম আলোয় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি’র বক্তব্য

আজকের পুঁজিবাজার:২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দৈনিক প্রথম আলোয় প্রকাশিত ‘ইউনিয়ন ব্যাংক থেকে ১৮ হাজার কোটি টাকা সরিয়েছেন এস

আলম’ শীর্ষক সংবাদ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। ইউনিয়ন ব্যাংক মনে করে, প্রকাশিত সংবাদের অনেক তথ্যই

অতিরঞ্জিত, মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। ব্যাংক কোম্পানি আইন ও বাংলাদেশ ব্যাংকের রীতিনীতি মেনেই ইউনিয়ন ব্যাংকের ঋণ

(বিনিয়োগ) বিতরণ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এবিএম মোকাম্মেল হক চৌধুরী

সম্পর্কে যেসব তথ্য লেখা হয়েছে সেগুলোও মনগড়া ও ভিত্তিহীন। ইউনিয়ন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এ ধরনের মিথ্যা প্রপাগাণ্ডার তীব্র

নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে গত ২৭ আগস্ট, ২০২৪ ইউনিয়ন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ

ভেঙ্গে দিয়ে নতুন পর্ষদ গঠন করে দেয়া হয়। ইউনিয়ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ শুরু থেকেই বাংলাদেশ ব্যাংকের সব

পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে। একই সঙ্গে নবগঠিত পরিচালনা পর্ষদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরীক্ষাদলকে সর্বাত্মক

সহযোগিতা করছে। কিন্তু প্রথম আলোয় প্রকাশিত সংবাদে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে বলা হয়, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা

এস আলমের ঋণ ও আমানতের বিষয়ে তথ্য চেয়ে ঠিকমতো পাচ্ছেন না। ফলে ব্যাংকটির প্রকৃত চিত্র বের করতে পারছেন

না’। প্রতিবেদনে উল্লেখিত এ বক্তব্যের কোনো সত্যতা নেই। প্রথম আলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘পরিস্থিতি আরও

খারাপ হয় ২০২০ সালে ব্যাংকটির এমডি হিসেবে মোকাম্মেল হক চৌধুরী যোগ দেওয়ার পর। তিনিও চট্টগ্রামের বাসিন্দা ও

এস আলম পরিবারের আত্মীয়।’ প্রতিবেদনে উল্লেখিত এ বক্তব্যেরও কোনো ভিত্তি নেই। এবিএম মোকাম্মেল হক চৌধুরী

বাংলাদেশ ব্যাংকের সকল শর্ত পূরণ করেই ইউনিয়ন ব্যাংকের এমডি হয়েছেন এবং এস আলম পরিবারের সঙ্গে তাঁর কোনো

আত্মীয়তার সম্পর্কও নেই। ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের শীর্ষ ব্যক্তি হিসেবে যতটুকু দায়িত্ব পালন করা দরকার, ব্যাংকের স্বার্থে

তিনি ততটুকুই করেছেন। প্রতিবেদনে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে বলা হয়, ‘ব্যাংক দখল, অর্থ লুটপাট ও অর্থ পাচারে সাইফুল

আলমের সহযোগী হিসেবে পরিচিত মোকাম্মেল হক চৌধুরী বিদায়ী সরকারেরও ঘনিষ্ঠ ছিলেন।’ প্রতিবেদনে উল্লেখিত এ

অভিযোগ সম্পূর্ণরুপে ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এবিএম মোকাম্মেল হক চৌধুরী কখনোই কোনো ব্যাংক দখল করতে

যাননি। অর্থ লুটপাট ও অর্থ পাচারে কারো সহযোগী হওয়ার প্রশ্নই আসে না। প্রতিবেদনে ইউনিয়ন ব্যাংকের একজন জ্যৈষ্ঠ

কর্মকর্তার (যদিও নাম উদ্ধৃত করা হয়নি) বরাতে ভিত্তিহীন বিভিন্ন তথ্য লেখা হয়েছে যা মোটেও সত্য নয়। ইউনিয়ন

ব্যাংক কর্তৃপক্ষ মনে করে, ব্যাংকের অভ্যন্তরে যদি কোনো অনিয়ম ঘটে থাকে, তার দায়-দায়িত্ব কোনো জ্যৈষ্ঠ কর্মকর্তাই

এড়াতে পারেন না। আমরা দৃঢ়ভাবে জানাতে চাই, দেশের ব্যাংক খাতের স্বার্থে যে সংস্কার কার্যক্রম চলছে, তার প্রতি

ইউনিয়ন ব্যাংক কর্তৃপক্ষের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন রয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2023 ajkerpujibazar.com
Design & Developed by BD IT HOST