আজকের পুঁজিবাজার:পুঁজিবাজারে মূল বোর্ড থেকে তালিকাচ্যুত বস্ত্র খাতের কোম্পানি আশরাফ টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের পরিচালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্ট ইউনিটের (বিএফআইইউ) শরনাপন্ন হচ্ছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। কোম্পানিটির পরিচালকদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং ইস্যুতে ব্যবস্থা নিতে বলা হবে।
গত বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এর চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৯৪১ তম কমিশন সভায়এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানান হয়েছে, পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত আশরাফ টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের উপর পরিচালিত তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ৮৮১তম ও ৯০২তম কমিশন সভার সিদ্ধান্তসমূহ পর্যালোচনা করে সিকিউরিটিজ আইন ও বিধি ভঙ্গের জন্য এনফোর্সমেন্ট ব্যবস্থা গ্রহণের এবং মানি লন্ডারিং বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিষয়টি বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটে (বিএফআইইউ) প্রেরণ করার চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিএসইসি নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী (২০১০-২০১২) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও যাচাই-বাছাই করার পর বেশ কয়েকটি অসঙ্গতি উদ্ঘাটন করা হয়। নিরীক্ষকদের রিপোর্ট অনুযায়ী, কোম্পানিটি ২০০৬ সালে তার উৎপাদন বন্ধ করে দেয় এবং তারপর থেকে সকল যন্ত্রপাতি বিক্রি করতে শুরু করে। কোম্পানিটি গাজীপুরের টঙ্গীর আশরাফাবাদে অবস্থিত মোট ৩২ দশমিক ৮২বিঘা বা ১০৮৫ ডেসিমেল জমি কর্ণফুলী ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কাছে ৭৫ কোটি টাকা দামে বিক্রি করেছিল।
এই জমি বিক্রির ৭৫ কোটি টাকা ব্যবহারের তথ্য জানতে চেয়ে কোম্পানিটির কাছে চিঠি দিয়েছিল বিএসইসি। সেইসঙ্গে কোম্পানির পরিচালক পর্ষদকে উল্লেখিত বিষয়ের নথিপত্র ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক কাগজপত্রসহ সশরীরে ব্যক্তিগত অবস্থান ব্যাখ্যা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এ বিষয়ে তাদের কাছ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
ধারণা করা হচ্ছে, আশরাফ টেক্সটাইলের জমি বিক্রির টাকা এর উদ্যোক্তারা আত্মসাৎ করেছেন। এর কিছু অংশ বিদেশেও পাচার হয়ে থাকতে পারে।
বর্তমানে কোম্পানিটি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওভার দ্যা কাউন্টার (ওটিসি) এ তালিকাভুক্ত।
Leave a Reply