পাহাড়ের এই অঞ্চলগুলোতে প্রচুর পরিমাণ মুখি কচুর চাষ করা হতো কিন্তু কালের বিবর্তনে এখন আর এই জমিগুলোতে মুখি কচুর চাষ করা বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমান সময়ে আবার স্থানীয় বাজারগুলোতে মুখি কচুর চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় এই কচু চাষের প্রতি ঝুঁকেছেন সেখানকার স্থানীয় চাষিরা। আর এতেই সাফল্য পেয়ছেন তারা।
এই কচুর গুণগত মান ভালো করার জন্য কচু রোপণের পূর্বেই চাষিরা তাদের জমিতে কয়েকবার করে চাষ করে নেন। চাষের পর মাটিগুলো সমান করে নিয়ে এই কচুগুলোকে চাষ করার জন্য লাঙল দিয়ে সারি সারি করে নালা টেনে নিতে হয়। তারপর একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব পর পর এই কচুকে রোপণ করে তারপর মাটি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।
কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, বাজারে এই কচুর প্রচুর চাহিদা রয়েছে, তাই এই অঞ্চলের কৃষকরা দিন দিন এই কচু চাষে ঝুঁকে পড়ছেন। বাকি সব কচুর চেয়ে এই কচু খেতে সুস্বাদু হওয়ায় দিন দিন এই কচুর চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
স্থানীয় চাষিরা বলেন, এই কচুর চাষ বেশ লাভজনক। আমাদের এই পাহাড়ি অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে কচুর চাষ হয়েছে। আবহাওয়া কচু চাষের উপযোগী হওয়াতে এই মৌসুমে ব্যাপক ফলন পেয়েছেন চাষিরা। সরকারীভাবে কোন সহযোগিতা পেলে কচুর উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পাবে। আগামী বছরগুলোতে এই কচুর চাষ আরও বৃদ্ধি পাবে বলেও জানান তারা।
Leave a Reply