আজকের পুঁজিবাজার:জনাব মোহা: শফিউল আজম
স্বাধীন বা স্বতন্ত্র পরিচারক ও চেয়ারম্যান
অডিট কমিটি।
আর এ কে সিরামিকস ( বাংলাদেশ) লি:
আইনগত ভিত্তি :- আর এ কে সিরামিকস ( বাংলাদেশ) লিমিটেডের আগামী ১৯ শে মার্চ ‘২০২৪ তারিখের এজিএম এ BSEC এর সার্কুলার ‘২০১৮ এর সেকশন ৫(৩) প্রতিপালনে স্বাধীন বা স্বতন্ত্র পরিচালক এর ভূমিকা ও জবাবদিহিতা।
নোটিশ :- আর এ কে সিরামিকস ( বাংলাদেশ) লিমিটেডের ১৯ শে মার্চের ২৫ তম এজিএম এ নোটিশ এর মাধ্যমে সংখ্যালঘু শেয়ারহোল্ডার হিসেবে আমার প্রশ্নসমূহ নিন্মরূপ।
*******************************************************
প্রিয় মহোদয়,
১) ক) এই কোম্পানি ১৩ ই জুন ২০১০ সালে স্টক এক্সচেঞ্জ এ তালিকাভুক্ত হয়। এই প্রেক্ষাপটে ২০১০ সাল থেকে ২০২৩ পর্যন্ত ১৪ বছরের কার্যক্রমে অনেক অসংগতি ও সংখ্যালঘু শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থ বিরোধী কার্যক্রম পরিদৃষ্ট ও পরিলক্ষিত হয়।
খ) সাধারণ সংখ্যালঘু শেয়ারহোল্ডারদের অজ্ঞতা ,তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতার অভাব ,দূর্বল আইনগত কাঠামো , সুপারভাইজারী প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর প্রভাবশালী ব্যাক্তি ও গোষ্ঠির অনৈতিক প্রভাব অন্যায় ভাবে প্রয়োগ করে এটা করা হয়েছে।
সর্বোপরি করোনাকালে ডিজিটাল প্লাটফরমে এজিএম কোম্পানি গুলোর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা শুন্যের কোঠায় কোণঠাসা হয়ে গিয়েছিল। যার অবসান হওয়া প্রয়োজন।
২)ক) ২০১১ সালের বার্ষিক রিপোর্ট এর পৃষ্ঠা ৬০ নোট -২.২ থেকে পরবর্তী বছরগুলো পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এর সাবসিডিয়ারি কোম্পানি ছিল ৪ টি, যার বিবরণ,বিনিয়োগ ও মালিকানার পরিমাণ নিন্মরূপ :-
নাম। ইনভেস্টমেন্ট ( কোটি টাকা) মালিকানা (%)
আরএকে ফার্মাসিউটিক্যাল–৫১.৭০——–৫৫%
আরএকে পাওয়ার———–১১.৬৮——–৫৭%
ক্লাসিক পোর্সিলিন———– ০.৫১——–৫১%
আরএকে ফুড & বেভারেজ — ০.১০——–৫১%
এছাড়া
আরএকে ফার্মাসিউটিক্যাল কে ৫০ কোটি টাকা লোন দেওয়া হয়েছিল। এবং HSBC এর সাথে ১৫ কোটি টাকার subordinate agreement করা হয়েছিল।
খ) ২০১৫ সালের বার্ষিক রিপোর্ট এর পৃষ্ঠা ১৩৪ নোট – ৭ এ দেখা যায়, ৪ টির মধ্যে মাত্র একটি আরএকে পাওয়ার সাবসিডিয়ারি কোম্পানি হিসেবে রয়েছে। যার বিনিয়োগ তখন ১১.৬৮ কোটি টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৪.১৬ কোটি টাকা।
গ) অন্য ৩ টি কোম্পানি লাভজনক হওয়ার সন্ধিক্ষণে যথাক্রমে ৫৫%,৫১%ও ৫১% শেয়ার ব্যক্তিগত মালিকানায় নিয়ে নেয়া হয়।
এক্ষেত্রে কারা এর বেনিফিসিয়ারী সংখ্যালঘু শেয়ারহোল্ডারদের জানাবেন।
সাধারণ সংখ্যালঘু শেয়ারহোল্ডারদের অজ্ঞতা ,তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতার অভাব ,দূর্বল আইনগত কাঠামো , সুপারভাইজারী প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর প্রভাবশালী ব্যাক্তি ও গোষ্ঠির অনৈতিক প্রভাব অন্যায় ভাবে প্রয়োগ করে এটা করা হয়।
ঙ) এই শেয়ার হস্তান্তর এর কারন, ভিত্তি, সহ বিস্তারিত তথ্য এবং তিনটি প্রতিষ্ঠানের ২০১৫ সাল পর্যন্ত আর্থিক ফলাফল সংখ্যালঘু শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থে পুনঃ নিরীক্ষণ, পুনঃ মুল্যায়নের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
৩)ক) ২০১১ সালের বার্ষিক রিপোর্ট এর পৃষ্ঠা ৬১ নোট -২.৪ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ৩ টি কোম্পানি তে বিনিয়োগ বা ইনভেস্টমেন্ট করা হয়েছিল। যার বিবরণ,বিনিয়োগ ও মালিকানার পরিমাণ নিন্মরূপ :-
নাম। ইনভেস্টমেন্ট ( কোটি টাকা) মালিকানা (%)
আরএকে সিকিউরিটি & সার্ভিসেস -০.০৩——–৩৫%
আরএকে পেইন্ট ——————২৪.৬৭——- ৪০%
আরএকে মোসফ্লাই (Mosfly) — ০.৯২——- ২০%
এছাড়া
আরএকে পেইন্ট কে ১০ কোটি টাকা লোন এবং ১৪.৫০ কোটি টাকা লোনের জন্যে কর্পোরেট গ্যারান্টি দেওয়া হয়েছিল।
এই ৩ টির মধ্যে মাত্র একটি আরএকে সিকিউরিটি & সার্ভিসেস সাবসিডিয়ারি কোম্পানি হিসেবে রূপান্তর করা রয়েছে। কিন্তু অন্য দুটিকে করা হয়নি।
খ)
অন্য ২ টি কোম্পানি লাভজনক হওয়ার সন্ধিক্ষণে যথাক্রমে ৪০%,ও ২০% শেয়ার ব্যক্তিগত মালিকানায় নিয়ে নেয়া হয়।
এক্ষেত্রে কারা এর বেনিফিসিয়ারী সংখ্যালঘু শেয়ারহোল্ডারদের জানাবেন।
সাধারণ সংখ্যালঘু শেয়ারহোল্ডারদের অজ্ঞতা ,তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতার অভাব ,দূর্বল আইনগত কাঠামো , সুপারভাইজারী প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর প্রভাবশালী ব্যাক্তি ও গোষ্ঠির অনৈতিক প্রভাব অন্যায় ভাবে প্রয়োগ করে এটা করা হয়েছে।
গ) ২০১৫ সালের বার্ষিক রিপোর্ট এর ১২১ পৃষ্ঠার নোট ২৫ অনুযায়ী এডমিন এক্স অস্বাভাবিকভাবে ৯৬.৫৫ কোটি টাকা।
অনুসন্ধানে দেখা যায় পৃষ্ঠা ১৪৬,১৪৭ যেখানে নোট -২৫ এর বিস্তারিত তথ্য রয়েছে তা আশ্চর্যজনক ভাবে সাদা। কোন লিখা বা তথ্য নেই।
এসোসিয়েট কোম্পানি দুটি নিজেদের ১০০% ব্যক্তি মালিকানায় নেওয়ার আগে বিপুল অংকের টাকার এই বিশাল দায় অন্যায়, অসততা, অনৈতিক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এই কোম্পানির উপর চাপিয়ে দিয়ে সংখ্যালঘু শেয়ারহোল্ডারদের ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে।
ঘ) এই শেয়ার হস্তান্তর এর কারন, ভিত্তি, সহ বিস্তারিত তথ্য এবং তিনটি প্রতিষ্ঠানের ২০১৫ সাল পর্যন্ত আর্থিক ফলাফল সংখ্যালঘু শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থে পুনঃ নিরীক্ষণ, পুনঃ মুল্যায়নের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
এই শেয়ার হস্তান্তর এর কারন, ভিত্তি, সহ বিস্তারিত তথ্য এবং তিনটি প্রতিষ্ঠানের বর্তমান আর্থিক ফলাফল সংখ্যালঘু শেয়ারহোল্ডারদের জানাবেন।
৪) বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের বিচার ২১ বছর পর শুরু হয়েছিল। স্বাধীন ও স্বতন্ত্র পরিচালক এবং একজন অবসরপ্রাপ্ত বিজ্ঞ বিচারক ও অভিজ্ঞ আইনজীবী হিসেবে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস ও প্রত্যাশা, আপনি সংখ্যালঘু শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থ সুরক্ষিত করবেন।
৫) ক) ২০১১ সালের বার্ষিক রিপোর্ট এর পৃষ্ঠা ৭৩ নোট -২৫.৩ পর্যালোচনা করে দেখা যায়,
ম্যানেজিং ডাইরেক্টর রেমুনারেশন
২০১০ সালে — ৫.২৭ কোটি টাকা, প্রতি মাসে গড়ে ৪৪ লক্ষ টাকা
২০১১ সালে — ৩.৯৮ কোটি টাকা, প্রতিমাসে গড়ে ৩৩.১৭ লক্ষ টাকা।
যা অস্বাভাবিক, নজীরবিহীন ও কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
খ) ২০১০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ১৪ বছর ম্যানেজিং ডাইরেক্টর রেমুনারেশন পর্যালোচনা ও গণনা করে দেখা যায় :-
২০১০ সালে — ৫.২৭ কোটি টাকা, প্রতি মাসে গড়ে ৪৪ লক্ষ টাকা
২০১১ সালে — ৩.৯৮ কোটি টাকা, প্রতিমাসে গড়ে ৩৩.১৭ লক্ষ টাকা।
২০১২ সালে — ৩.৬২ কোটি টাকা, প্রতি মাসে গড়ে ৩০.১৭ লক্ষ টাকা
২০১৩ সালে — ২.৫৭ কোটি টাকা, প্রতিমাসে গড়ে ২১.৪২ লক্ষ টাকা।
২০১৪ সালে — ৩.০৬ কোটি টাকা, প্রতি মাসে গড়ে ২৫.৫০ লক্ষ টাকা
২০১৫ সালে — ১.৭২ কোটি টাকা, প্রতিমাসে গড়ে ১৪.৩৪ লক্ষ টাকা।
২০১৬ সালে — ৪.০৯ কোটি টাকা, প্রতি মাসে গড়ে ৩৪.০৮ লক্ষ টাকা
২০১৭ সালে — ৪.৫৯ কোটি টাকা, প্রতিমাসে গড়ে ৩৮.২৫ লক্ষ টাকা।
২০১৮ সালে — ৩.৯৯ কোটি টাকা, প্রতি মাসে গড়ে ৩৩.২৫ লক্ষ টাকা
২০১৯ সালে — ৩.৫৯ কোটি টাকা, প্রতিমাসে গড়ে ২৯.৯১ লক্ষ টাকা।
২০২০ সালে — ১.৪৩ কোটি টাকা, প্রতি মাসে গড়ে ১১.৯২ লক্ষ টাকা
২০২১ সালে — ৩.৭০ কোটি টাকা, প্রতিমাসে গড়ে ৩০.৮২ লক্ষ টাকা।
২০২২ সালে — ২.৮৪ কোটি টাকা, প্রতি মাসে গড়ে ২৩.৬৭ লক্ষ টাকা
২০২৩ সালে — ২.৫২ কোটি টাকা, প্রতিমাসে গড়ে ২১.০০ লক্ষ টাকা।
গ) এই ১৪ বছরে তিনি মোট রেমুনারেশন নিয়েছেন ৫২.৩২ কোটি টাকা। প্রতি মাসে গড়ে ৩১.১৪ লক্ষ টাকা।
এক্ষেত্রে ২০০৭ কর্মরত অবস্থা থেকে ২০২৩ পর্যন্ত প্রায় ১৭ বছর তিনি কতো টাকা রেমুনারেশন নিয়েছেন এবং আয়কর হিসেবে ব্যক্তিগত খাত থেকে সরকারী কোষাগার এ কতো টাকা জমা দিয়েছন তা সংখ্যালঘু শেয়ারহোল্ডারদের জানাবেন।
ঘ) যেভাবে তিনি রেমুনারেশন নিচ্ছেন তালিকাভুক্ত কোম্পানি তে তা নজীরবিহীন। কোন আইনে এবং কিসের ভিত্তিতে তিনি এই বিপুল অংকের রেমুনারেশন গ্রহণ করছেন তা জানা প্রয়োজন , এবং বাতিল করা প্রয়োজন।
৬) ক) ২০২৩ সালে আর একে সিরামিকস এর ব্যালেন্স শীট ও লাভক্ষতি হিসাব (পৃষ্ঠা ২২৩,২২৪) পর্যালোচনা করে দেখা যায় :-
সেল ৪.৮৬% বাড়লেও
অপারেটিং প্রফিট ঋণাত্মক –(১২.৩৭%)
প্রফিট বিফোর ট্যাক্স ঋণাত্মক -(১১.০৯%)
প্রফিট আফটার ট্যাক্স ঋণাত্মক -(১২.০২%)
ইপিএস ১.৬২ টাকা থেকে কমে হয়েছে ১.৪২ টাকা।
যা অস্বস্তিকর ও সন্তোষজনক নয়। এর ব্যাখ্যা প্রয়োজন।
খ) ২০২৩ সালে গ্রস প্রফিট মার্জিন ২৬.২৩% থেকে কমে হয়েছে ২৫.১০%। এর কারন সেল ৪.৮৬% বাড়লেও কস্ট অফ সেল বেড়েছে ৬.৪%। তুলনামুলকভাবে বেশী।
২০২৩ সালে টাইলস এর প্রতি বর্গফুট বিক্রয় মূল্য ৭,৬৪৭/- টাকা থেকে ৯৯৫/- টাকা বা ১৩% বেড়ে হয়েছে ৮,৬৪২/- টাকা।
দাম গতবছরের সমান থাকলে এবছর বিক্রয় মূল্য ৮০৮ কোটি টাকার পরিবর্তে হতো ৭১৫ কোটি টাকা। ৯৩ কোটি টাকা কম।
বর্গফুট প্রতি ১৩% মূল্যবৃদ্ধির এই সুযোগ টা আমরা গ্রহণ করতে পারলাম না কেন। এর সন্তোষজনক ব্যাখ্যা প্রয়োজন।
গ) ২০২৩ সালে সেল এর বিপরীতে কমিশন, ইন্সেন্টিভ ও বোনাস কমেছে (২৭) কোটি টাকা বা (৩৬%)। এর মধ্যে
ডিলার কমিশন কমেছে – ৫ কোটি টাকা
Breakage কমিশন কমেছে ৫ কোটি টাকা
ইন্সেন্টিভ & বোনাস কমেছে ১৭ কোটি টাকা।
এর (৩৬%) ১৩% মূল্য হ্রাসের সুযোগ টা আমরা গ্রহণ করতে পারলাম না কেন। এর সন্তোষজনক ব্যাখ্যা প্রয়োজন।
ঘ)পৃষ্ঠা -২৫২ নোট ২৭
পাওয়ার এন্ড গ্যাস ৭২ কোটি টাকা থেকে ৬৯.৫০ কোটি বা ৯৬% বেড়ে হয়েছে ১৪২ কোটি টাকা
Movement in stock (১.৯১) কোটি টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে (৫৩.১১) কোটি টাকা।
এর ব্যাখ্যা প্রয়োজন।
৭) পৃষ্ঠা ২৩৫ নোট ৪
কোম্পানি ২০২৩ সালে (৩৯.৬০) কোটি টাকার স্থায়ী সম্পদ Sale /Disposal / transfer করেছে। যার মধ্যে :-
প্লান্ট এন্ড মেশিনারি-৩৮.৩১ কোটি টাকা।
অফিস ইকুইপমেন্ট–০.৯০ কোটি টাকা
ভেহিক্যাল ———–০.৩৮ কোটি টাকা
এক্ষেত্রে সঠিকভাবে আইন মেনে এটা করা হয়েছে কিনা এর বিস্তারিত তথ্য ও নথিপত্র প্রয়োজন।
৮) ইনভেন্টরী ৩৫০ কোটি টাকা যা মোট সেল এর ৪৫.২৩%। প্রায় সাড়ে পাঁচ মাসের উর্দ্ধে মজুত মালামাল রাখা হয়েছে, যা স্বাভাবিক নয়।
এক্ষেত্রে ফিজিক্যাল ইনভেন্টরী করা হয়েছে কিনা এবং মজুত মালামাল সঠিক আছে কিনা, উপস্থিত অডিটর এর ব্যাখ্যা দেবেন।
৯)ক) ট্রেড এন্ড আদার রিসিভেবল ১৫১ কোটি টাকা থেকে অস্বাভাবিকভাবে ৯৫ কোটি বা ৬৩% বেড়ে হয়েছে ২৪৬ কোটি টাকা। যার কোন তালিকা বা শিডিউল নেই। সংখ্যালঘু শেয়ারহোল্ডারদের এটা জানা প্রয়োজন।
খ) ইনভেন্টরী ও রিসিভেবল মিলিয়ে ৫৯৭ কোটি টাকা, যা মোট সেল এর ৭৭%। যা কোনক্রমে বহনযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য নয়।
ইনভেন্টরী ও ফান্ড ম্যানেজমেন্ট এ যথেষ্ট শিথিলতা ও ঘাটতি রয়েছে।
এর ফলে Borrowing করতে হয়েছে ৩৬ ও ৭৩ কোটি টাকা। ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপেন্স হয়েছে (৭.০৮) কোটি টাকা। যা অনভিপ্রেত। এর সন্তোষজনক ব্যাখ্যা প্রয়োজন।
১০) ক) ১৯ তারিখের এজিএম এ উপরোক্ত প্রশ্ন সমূহ ফিজিক্যালি উত্থাপনের সুযোগ দেবেন এবং তার সন্তোষজনক জবাব প্রদান করবেন. ! এবং জবাব সহ তা ইজিএম এর কার্যবিবরণী তে অন্তর্ভুক্তিকরণ এবং কার্যবিবরনী নিন্মোক্ত স্বাক্ষরকারী কে কোম্পানি আইন ‘১৯৯৪ এর ৮৯(৪) ধারা অনুযায়ী পরিদর্শন এবং ৮৯(৫) ধারা অনুযায়ী কার্যবিবরণীর অনুলিপি সরবরাহ করে বাধিত করবেন
খ) বিএসইসি এর ০৩.০৬.২০১৮ তারিখের ইস্যুকৃত সিজিসি এর সেকশন ৫(৩) অনুযায়ী স্বতন্ত্র পরিচালক ও অডিট কমিটির চেয়ারম্যান এজিএম এ সশরীরে উপস্থিত থেকে কর্পোরেট গভর্নেন্স এর কমপ্লায়েন্স কন্ডিশন নং 1(5)(xvi) প্রতিপালনে সংখ্যালঘু শেয়ার হোল্ডারদের স্বার্থরক্ষা , ফিজিক্যালি তাদের প্রশ্ন করার সুযোগ ও উত্থাপিত প্রশ্নের জবাব প্রদান ও এজিএম এর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবেন
ধন্যবাদান্তে
গোলাম ফারুক
শেয়ার হোল্ডার
বিও আইডি :-1205590002094455
মোবাইল ফোন -01717066781
পৃষ্ঠা-২৪৮, নোট-২২
ট্রেড এন্ড আদার পেইবল ১৫৯ কোটি টাকা থেকে ৫২ কোটি বা ৩২.৫% বেড়ে হয়েছে ২১১ কোটি টাকা। এখানে
Payable to foreign suppliers -০-৫৩.৮৭ কোটি টাকা
Tax deducted on remuneration–০.৬৩ কোটি টাকা
payable against claim —১.৭৮ কোটি টাকা।
এর বিবরণ, কারন ও ব্যাখ্যা প্রয়োজন।
পৃষ্ঠা-২৫৪, নোট-৩২
ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপেন্স
ফরেন এক্সচেন্স লম
২০২২ সালে-৭.৯৪ কোটি টাকা
২০২৩ সালে২.৭৩ কোটি টাকা।
কি কারণে এই এক্সচেস লস। এক্ষেত্রে ফান্ড ম্যানেজমেন্ট এ কোন ঘাটতি বা জটিলতা আছে কিনা, সংখ্যা লঘু শেয়ার
জানাবেন।
পৃষ্ঠা-২৬১, নোট-৩৯
রিলেটেড পার্টি ডিসক্লোজার
ক) SA K Ekramuzzaman
Current year – ০.৫৬ কোটি টাকা, ১০.৭৩ কোটি টাকা, ২.৫২ কোটি টাকা।
previous year – ৪০.৬০ কোটি টাকা, ১০.৯৬ কোটি টাকা, ২.৮৩ কোটি টাকা।
এর বিস্তারিত কারন, নৈতিক অবস্থান ও ব্যাখ্যা প্রয়োজন।
খ) Ceramin FZ LLC
Current year — ৭৩.১৪ কোটি টাকা
Previous Year ৬৫.৯৪ কোটি টাকা
এর বিস্তারিত কারন ও ব্যাখ্যা প্রয়োজন।
Shalall
শাহ আলম বাবু
ম্যানেজিং ডাইরেক্টর
বিও নম্বর: ১৬০৫১২০০৭৪৩৫২৬৩১
Recind ky
14/02/20
শেয়ার হোল্ডারস গাইডলাইন লি:
বিও আইডি নং- ১২০২১৪০০০০০১৪০০৬
২০১০ সালে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর পরবর্তী বছরগুলো পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এর সাবসিডিয়ারি কোম্পানি দিল ৪ টি, যার বিবরণ, বিনিয়োগ ও মালিকানার পরিমাণ নিম্নরূপ:
নাম। ইনভেস্টমেন্ট (কোটি টাকা) মালিকানা (%)
আরএকে ফার্মাসিউটিক্যাল-৫১.৭০-৫৫%
আরএকে পাওয়ার১১.৬৮৫৭%
ক্লাসিক পোর্সিলিন- ০.৫১৫১%
আরএকে ফুড & বেভারেজ ০.১০৫১%
এছাড়া
আরএকে ফার্মাসিউটিক্যাল কে ৫০ কোটি টাকা লোন দেওয়া হয়েছিল। এবং HSBC এর সাথে ১৫ কোটি টাকার subordinate agreement করা হয়েছিল।
খ) ২০১৫ সালের বার্ষিক রিপোর্ট এর পৃষ্ঠা ১৩৪ নোট ৭ এ দেখা যায়, ৪ টির মধ্যে মাত্র একটি আরএকে পাওয়ার সাবসিডিয়ারি
কোম্পানি হিসেবে রয়েছে। যার বিনিয়োগ তখন ১১.৬৮ কোটি টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৪.১৬ কোটি টাকা।
গ) অন্য ৩ টি কোম্পানি লাভজনক হওয়ার সন্ধিক্ষণে যথাক্রমে ৫৫%,৫১%ও ৫১% শেয়ার ব্যক্তিগত মালিকানায় নিয়ে নেয়া হয়। এক্ষেত্রে কারা এর বেনিফিসিয়ারী সংখ্যালঘু শেয়ারহোল্ডারদের জানাবেন।
সাধারণ সংখ্যালঘু শেয়ারহোল্ডারদের অজ্ঞতা, তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতার অভাব, দূর্বল আইনগত কাঠামো সুপারভাইজারী প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর প্রভাবশালী ব্যাক্তি ও গোষ্ঠির অনৈতিক প্রভাব অন্যায় ভাবে প্রয়োগ করে এটা করা হয়।
ঘ) এই শেয়ার হস্তান্তর এর কারন, ভিত্তি, সহ বিস্তারিত তথ্য এবং তিনটি প্রতিষ্ঠানের ২০১৫ সাল পর্যন্ত আর্থিক ফলাফল সংখ্যাল শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থে পুনঃ নিরীক্ষণ, পুনঃ মুল্যায়নের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
ক) ম্যানেজিং ডাইরেক্টর এর রেমুনারেশন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০১০ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত এই ১৪ বছরে তি মোট রেমুনারেশন নিয়েছেন ৫২.৩২ কোটি টাকা। প্রতি মাসে গড়ে ৩১.১৪ লক্ষ টাকা।
এক্ষেত্রে ২০০৭ কর্মরত অবস্থা থেকে ২০২৩ পর্যন্ত প্রায় ১৭ বছর তিনি কতো টাকা রেমুনারেশন নিয়েছেন এবং আয়কর হিসে ব্যক্তিগত খাত থেকে সরকারী কোষাগার এ কতো টাকা জমা দিয়েছন তা সংখ্যালঘু শেয়ারহোল্ডারদের জানাবেন।
খ) যেভাবে তিনি রেমুনারেশন নিচ্ছেন তালিকাভুক্ত কোম্পানি তে তা নজীরবিহীন। কোন আইনে এবং কিসের ভিত্তিতে তিলি
বিপুল অংকের রেমুনারেশন গ্রহণ করছেন তা জানা প্রয়োজন, এবং বাতিল করা প্রয়োজন।
গ) তার ব্যক্তিগত আয়কর এর টাকা তিনি কি কোম্পানির মাধ্যমে পরিশোধ করেছেন, তা বিস্তারিত জানাবেন।
পৃষ্ঠা-২৫২, নোট-২৭
ক) Royalty and technical know how fees পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০১০ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত এই ১৪ বছরে ১২৬.২৭ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। প্রতি বছর গড়ে ৯.০২ কোটি টাকা। যার বিবরণ নিন্মরূপ:-
২০১০ সালে ২৩.১৫ কোটি টাকা ২০১১ সালে ১০.৬৩ কোটি টাকা, ২০১৩ সালে Tet 1st es – all tyot
৮.১২ কোটি টাকা,
২০১৪ সালে ৭.২৪ কোটি টাকা,
২০১৫ সালে ৮.০৪ কোটি টাকা,
২০১৬ সালে ১.২৫ কোটি টাকা,
২০১৭ সালে ১০.৭৯ কোটি টাকা,
২০১৮ সালে ৯.৪২ কোটি টাকা,
২০১১ সালে ৮.৪৭ কোটি টাকা,
২০২০ সালে ৩.০৫ কোটি টাকা,
২০২১ সালে ৭.২০ কোটি টাকা,
২০২২ সালে ৭.০০ কোটি টাকা,
২০২৩ সালে ৬.৬৫ কোটি টাকা,
খ) এই ১২৬ কোটি টাকার বিপরীতে বিগত ১৪ বছরে কোম্পানি কতো কোটি টাকার আর্থিক সুবিধা পেয়েছে। কোন কোন খাতে কিভাবে এই আর্থিক সুবিধা এসেছে তার বছর ওয়ালী শিডিউল, ব্রেক আপ, বিস্তারিত তথা ও বিবরণ সংখ্যালঘু শেয়ারহোল্ডারদের জানানো প্রয়োজন।
গ) ১২৬ কোটি টাকা Royalty and technical know how fees এর মধ্যে
Royalty কতো কোটি টাকা
technical know how fees কতো কোটি টাকা
তার বিভাজন প্রয়োজন।
ঘ) বর্তমানে বৈদ্যেশিক মুদ্রার তীব্র সংকট এর সময়ে এই অযৌক্তিক ব্যয় বাতিল করা প্রয়োজন।
Show
সেলিম রেজা
বিও ১২০১৫৯০০৪৯৪৫১৯৮৩
মোবাইল ০১৭৮২৭৬১৯০১১
) ক) ২০২৩ সালে আর একে সিরামিকস এর সাবসিডিয়ারি কোম্পানি RAK Power Pvt Ltd এর ব্যালেন্স শীট ও লাভক্ষতি হিসাব (পৃষ্ঠা ২৬৮,২৬৯) পর্যালোচনা করে দেখা যায় তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক, আশংকাজনক। যেমন
গ্রস প্রফিট অস্বাভাবিক ভাবে কমেছে ঋণাত্মক (৪৬.৫২%) অপারেটিং প্রফিট অপ্রত্যাশিত ভাবে ঋণাত্মক – (45%) প্রফিট বিফোর ট্যাক্স আশংকাজনক ভাবে ঋণাত্মক (৬০.৪%) প্রফিট আফটার ট্যাক্স; অবিশ্বাস্য ভাবে ঋণাত্মক -(৬৫%)
সেলস উচ্চহারে ৩৬.৮৩ কোটি টাকা থেকে ৬৩.৪৫ কোটি টাকা বা ৭২.৩% বাড়লেও ২.৪০ কোটি টাকা থেকে হয়েছে মাত্র ০.৮৪ কোটি টাকা ইপিএস ১১.৭৫ টাকা থেকে কমে হয়েছে ৪.১২ টাকা।
যা প্রথমে প্রিন্টিং মিস্টেক বলে মনে হয়েছিল।
খ) আরএকে সিরামিকস এর সাবসিডিয়ারি কোম্পানি RAK Power Pvt Ltd মে ইনভেস্টমেন্ট ৩৪.১৬ কোটি টাকা।
এর বিপরীতে নিট প্রফিট মাত্র ০.৮৪ কোটি টাকা।
যা ইনভেস্টমেন্ট এর বিপরীতে মাইক্রোস্কোপিক ০.০২%।
যা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য ও বহনযোগ্য নয়। এর ব্যাখ্যা প্রয়োজন।
২) পৃষ্ঠা-২৮৬, নোট-২৩
২০২৩ সালে RAK Power এর গ্রস প্রফিট মার্জিন ১০.৯৪% থেকে অস্বাভাবিক কমে য ৩.৩৯%।
এর কারন সেলস ৭২% বাড়লেও কস্ট অফ সেল বেড়েছে ৮৭%। তুলনামূলকভাবে অনেক বেশী।
এখানে ন্যাচারাল গ্যাস কনজামশন বেড়েছে ২৫.১৭ কোটি টাকা বা ১১৩%।
রিপিয়ার এন্ড ইনডাইরেক্ট মেটেরিয়াল বেড়েছে ৪ কোটি টাকা বা ৭৯%। এর মধ্যে Spare parts cat genset অস্বাভাবিক ভাবে বেড়েছে ১.২৪ কোটি টাকা বা ২৪৮%।
এর সন্তোষজনক ব্যাখ্যা প্রয়োজন।
৩) পৃষ্ঠা-২৮১, নোট-৯,১০
ইনভেন্টরী ৭.০১ কোটি টাকা।
এর বিস্তারিত ব্রেক আপ ও তালিকা প্রয়োজন
ট্রেড রিসিভেবল বেড়েছে ৭.৫৩ কোটি টাকা বা ১১০%।
যা অস্বাভাবিক। এর ব্যাখ্যা প্রয়োজন।
৪) সম্প্রতি পিডিবি তাদের এক প্রতিবেদনে বলেছে, ২০২৫ সালে অলস বসে থাকবে ১৫,৭৩৫
মেগাওয়াট এর কেন্দ্র:-
সাল. সম্ভাব্য উত্পাদন, MW. সম্ভাব্য চাহিদা MW (উদ্বৃত্ত)
২০২১. — ২২,২৫৯. ১৪,৫০০. (৭,৭৫৯)
২০২২.- ২৬,৯৫৯.
২০২৩.
৩০,৫৮৫.
১৫,৮০০, (১১,১৫৯)
১৭,১০০. (১৩,৪৮৫)
২০২৪. ৩৪,৯৭৮. ১৮,৫০০. (১৬,৪৭৮)
২০২৫.
৩৫,৬৩৫.
১৯,৯০০. (১৫,৭৩৫)
যা পাওয়ার সেক্টরের জন্যে এক অশনি সংকেত
এ ব্যাপারে এই কোম্পানির অবস্থান ও পূর্ব প্রস্তুতি কি, সংখ্যালঘু শেয়ারহোল্ডা
জানাবেন,
মো: আফছার উদ্দিন সরকার।
বিও ১২০২৬৪০০০০০৫০৩৩৯
মোবাইল ০১৭৫১৬৩২৬২৮
আমরা আশা করব ২৫ তম এজিএম এ প্রশ্নের উত্তর গুলো কোম্পানির পরিচালক মহোদয়গণ দিবেন।
Leave a Reply